কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাসিমারকাটা সিকদার পাড়া এলাকায় জমি বিরোধের জেরধরে ছুরিকাঘাতে আহত মোহাম্মদ খাইরুদ্দীনও চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। টানা পাঁচদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে খাইরুদ্দিন মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন।
এলাকাবাসী জানান, গত ২০ মে সকাল সাড়ে দশটার দিকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাসিমারকাটা এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন দুই চাচাতো ভাইকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় ঘটনাস্থলে স্থানীয় আলতাফ হোসেন এর ছেলে মো. আরিফ হোসেন (৩৫) নিহত হলেও অপর ভাই মোহাম্মদ খাইরুদ্দিন (৪০) গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ওইদিন প্রথমে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে টানা পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গতকাল শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাতটার দিকে মারা গেছেন আহত খাইরুদ্দিন।
নিহত মোহাম্মদ খাইরুদ্দিন কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাসিমারকাটা সিকদারপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ২০ মে সকালে ঘটনাস্থলে নিহত আরিফ হোসেনের আপন চাচাতো ভাই।
খুনের এ ঘটনায় ওইদিনই চকরিয়া সার্কেল এএসপি অভিজিৎ দাশ ও চকরিয়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ঘাতক সাজ্জাদ হোসেন সুজন ও তাঁর মা-বোনসহ চার নারীকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গত ২০ মে সকাল সাড়ে দশটার দিকে নিহত আরিফ ও তার চাচাতো ভাই খাইরুদ্দিনসহ স্থানীয় ছোয়ালিয়াপাড়া স্টেশন থেকে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়কে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সুজন (৩৬) ঘর থেকে ছুরি নিয়ে বের হয়ে আরিফ ও খাইরুদ্দিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
এসময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে আরিফ হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে গুরুতর আহত চাচাতো ভাই খাইরুদ্দিনকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, কৈয়ারবিলে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত খাইরুদ্দিন নামের ওই ব্যক্তি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে শুনেছি। নিহতের পরিবারের আবেদনের আলোকে এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: